মঙ্গলবার মাগুরায় শিশু আছিয়া ধ*র্ষণ ও হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১০:৩০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এদিনও মামলার প্রধান আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিতু শেখ আদালত কক্ষে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে আদালত সূত্র জানিয়েছে যে, সকল সাক্ষী হিতু শেখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সেদিনও শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে হিতু শেখ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
গতকাল, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হিতু শেখসহ ৪ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীর আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, গত তিন কার্যদিবস ধরে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। গতকাল ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন এবং আছিয়ার বোন হামিদা। এই মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার মাগুরা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাক্ষ্য দেবেন। গতকাল, আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তিনি আদালতে যুক্তি দেন যে আসামিরা নির্দোষ।
গতকালও আদালত কক্ষে ঢোকার আগে হিটু শেখ ঘটনার জন্য তাঁর পুত্রবধূ আছিয়ার বোনকে দায়ী করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হিটু শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমিসহ আমার দুই ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাইরে যাওয়ার সময়ও আছিয়াকে সুস্থ দেখে গেছি। আছিয়ার বোন এ সময় একাই বাড়িতে ছিল। সাংবাদিকরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। দোষী হলে যে শাস্তি হয়, মাথা পেতে নেব।
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ধ*র্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। ঢাকা সিমএমএইচে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
0 Comments